মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী পদ্ধতিগতভাবে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে জাতিসংঘের স্বাধীন অনুসন্ধানী সংস্থা (আইআইএমএম)। মঙ্গলবার প্রকাশিত ১৬ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সফরের তৃতীয় দিনে টোকিওতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে এই স্মারকগুলো সই হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "জাপান বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু এবং উন্নয়নের দীর্ঘদিনের অংশীদার। আজকের এই চুক্তিগুলো আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।"

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং भविष्यে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, "ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"

যেসব বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হলো

সই হওয়া সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • স্মার্ট এগ্রিকালচার: কৃষি খাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন।
  • শিল্পখাতে সহযোগিতা: বাংলাদেশের শিল্পখাতে জাপানি বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে সহযোগিতা।
  • অবকাঠামো উন্নয়ন: বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পে জাপানের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি।
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি): সাইবার নিরাপত্তা, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এবং বিগ ডেটা ব্যবস্থাপনায় পারদর্শিতা বিনিময়।
  • মানবসম্পদ উন্নয়ন: বিশেষায়িত খাতে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য জাপানে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই চুক্তিগুলোর সফল বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছানোর লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। এই সফর দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।